শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরিশাল কারাগারে কয়েদিকে হত্যা, দাবী স্ত্রীর

dynamic-sidebar

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি কবির সিকদার মৃত্যুর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী হনুফা বেগম। সোমবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবের হল রুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় লিখিত বক্তব্যে হনুফা বেগম বলেন, ‘পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা কবির সিকদার একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন।

সে বরিশাল কারাগারে কাজ করতো। আমার স্বামী কবিরকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস সে আত্মহত্যা করতে পারে না। সে তার স্ত্রী ও সন্তানদেও খুবই ভালোবাসতেন। জেলে যখন তার সাথে দেখা করতাম তখনই কবির আমাদের সাহস যোগাতো। কিছুদিন আগে যখন তার সাথে দেখা করি তখন তার জামিনের কথা বলি। সেই মানুষটা কিভাবে আত্মহত্যা করে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। ২৮ ফেব্রুয়ারী আমরা তার সাথে দেখা করতে আসি। সকাল নয়টা থেকে পাঁচবার টিকিট কাটি কিন্তু তবুও তার দেখা পাওয়া যায়নি।

পরে জেল থেকে আমাদের জানানো হয় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কখনো বলে টিকিট হারিয়ে গেছে। বিকাল ৪টার দিকে এসে বলে কবির বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে অসুস্থ্য অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর হাসপাতালে থাকা পুলিশরা আমাদেরকে লাশ ঘরের দিকে নিয়ে যায় এবং আমাদের লাশ দেখায়, জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। সে যদি আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে কেন আমাদেরকে সকাল থেকে হয়রাণি করা হয়েছে।

এছাড়া পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমরা সন্দেহজনক কিছু তথ্যও পাই। এছাড়া কবির সিকদারের বুকে কালো দাগ ও দুই হাতে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়।’ এসময় তিনি আরো বলেন, কবির সিকদার (৪০) ভোলা জেলার মনপুরা থানা এলাকায় চুরির ঘটনায় ১৯৯৯ সালের একটি মামলায় ১৯ বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়। ওই ঘটনায় তার ১০ বছরের সাজা হয়। এরপর তাকে পিরোজপুর জেলে নেয়া হয় এবং পরে বাদীর স্থানীয় ঠিকানা অনুযায়ী ভোলা জেলে পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ৩/৪ মাস থাকার পর কবিরের অসুস্থ্যতার কারণে তাকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়।

সে বরিশাল কারাগারে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ছিলো সে। মৃত্যুর সাতদিন পূর্বে দেখা করে তাকে জানানো হয় ৫ই মার্চ তার জামিন হয়ে যাবে। সেই লোক কিভাবে আত্মহত্যা করে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

সংবাদ সম্মেলনে হনুফা বেগমের সাথে উপস্থিত ছিলেন কবির সিকদারের ৫ বছর বয়সী মেয়ে সাইমুনা ও ১০ মাস বয়সী মেয়ে মাইশা ও মৃত কবির সিকদারের ভাই আব্দুল জলিল। উল্লেখ্য, পহেলা মার্চ বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কবির সিকদার গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net